নতুন বিশ্ব এবং পুরাতন বিশ্বের ওয়াইনের মধ্যে পার্থক্য করতে হলে তাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং অঞ্চল সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। নিচে কিছু মূল বিষয় দেওয়া হলো যা এই দুই ধরনের ওয়াইনকে আলাদা করতে সাহায্য করতে পারে:
-
অঞ্চল: সাধারণত, পুরাতন বিশ্বের ওয়াইন ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন এবং জার্মানির মতো দেশ থেকে আসে, যেখানে প্রথম ওয়াইন তৈরি শুরু হয়েছিল। অন্যদিকে, নতুন বিশ্বের ওয়াইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আর্জেন্টিনার মতো দেশ থেকে আসে, যেখানে ওয়াইন তৈরি তুলনামূলকভাবে নতুন।
-
স্বাদ এবং শৈলী: ওয়াইনের স্বাদ এবং শৈলী ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে। পুরাতন বিশ্বের ওয়াইনগুলোতে সাধারণত সংযত স্বাদ এবং উচ্চ অম্লতা থাকে, যা তাদের হালকা স্বাদ দিতে পারে। এগুলোতে প্রায়শই মাটির মতো আন্ডারটোন এবং সূক্ষ্ম ফলের স্বাদ থাকে। অন্যদিকে, নতুন বিশ্বের ওয়াইনগুলো প্রায়শই ফুল-বডিড, ফ্রুটি এবং সাহসী হয়।
-
ভিটিকালচার এবং ওয়াইন তৈরি: পুরাতন বিশ্বের ওয়াইনগুলো সাধারণত ভিটিকালচার এবং ওয়াইন তৈরির দীর্ঘস্থায়ী ঐতিহ্য অনুসরণ করে। তবে, নতুন বিশ্বের ওয়াইন অঞ্চলগুলো সাধারণত আরও পরীক্ষামূলক এবং ঐতিহ্যের দ্বারা কম আবদ্ধ, যা বিভিন্ন ধরণের শৈলীর জন্ম দেয়।
-
ওয়াইন লেবেলিং: ওয়াইন লেবেলিংয়ের পদ্ধতিও দুই ধরনের ওয়াইনের মধ্যে ভিন্ন হয়। পুরাতন বিশ্বের ওয়াইনগুলো প্রায়শই আঙ্গুরের জাতের পরিবর্তে অঞ্চল দ্বারা লেবেল করা হয় (যেমন, বোর্দো, রিওজা)। এর বিপরীতে, নতুন বিশ্বের ওয়াইনগুলো সাধারণত আঙ্গুরের জাত দ্বারা লেবেল করা হয় (যেমন, ক্যাবার্নেট স্যাভিগনন, শার্ডোনে)।
মনে রাখবেন, ওয়াইন টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে অনুশীলন সাফল্যের চাবিকাঠি। তাই, একটি (বা দুটি) বোতল ধরুন এবং পুরাতন ও নতুন বিশ্বের ওয়াইনের মধ্যে পার্থক্য করা শুরু করুন!